নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: অমিক্রনের তেজ কমার সঙ্গে সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিককেই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকা বিক্রির অনুমতি দেওয়া হলো। তবে আপাতত ওষুধের দোকানগুলোকে নয়। এত দিন শুধু সরকার নির্ধারিত হাসপাতালেই পাওয়া যেত টিকা।
বৃহস্পতিবার ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) এই ছাড়পত্র দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা । খবর অনুযায়ী এই দুই টিকার দামও সরকার বেঁধে দিয়েছে। সর্বোচ্চ দাম ২৭৫ টাকা । তার সঙ্গে যুক্ত হবে ১৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ।শর্ত হলো, দুই সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেককে তাদের টিকাসংক্রান্ত সব ধরনের চলমান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
টিকাদানের পরে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে কি না, সে দিকেও দুই সংস্থাকে নজর রাখতে হবে। দুই সংস্থা খোলাবাজারে টিকা সরবরাহের অনুমতি চেয়েছিল গত বছরের অক্টোবর মাসে।
বর্তমানে সরকারের বেঁধে দেওয়া কোভ্যাক্সিন টিকার দাম ১ হাজার ২০০টাকা পি, কোভিশিল্ড ৭৮০ টাকা । এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ ১৫০ টাকা । খোলাবাজারে বিক্রির দাম ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটিকে। বলা হয়েছিল, টিকার দাম যাতে সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে থাকে, তা নিশ্চিত করতে।
ওই সংস্থাই ২৭৫ টাকা দাম ধার্য করেছে। সরকারি দাবি, দেশের ৯২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অন্তত একটি করে টিকা নিয়েছেন। ৭২ শতাংশ দুটি টিকা। মোট টিকার ৮০ শতাংশই কোভিশিল্ড।
ভারতে দৈনিক সংক্রমণ একটা সময় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ দাঁড়িয়েছিল। গত মঙ্গলবার থেকে তা কমতে শুরু করেছে। সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও ডেলটার তুলনায় অমিক্রনের প্রকোপ যথেষ্ট কম। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৯০ শতাংশই বাড়িতে ঠিক হয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালের ওপর চাপ যথেষ্ট কম। অক্সিজেনের প্রয়োজনও সামান্য।
এই অবস্থায় দিল্লি সরকার গতকাল জানিয়েছে রেস্তোরাঁ ও সিনেমা হল ৫০ শতাংশ খদ্দের নিয়ে চালু করা যাবে। দোকান-বাজার খোলার জোড়-বিজোড় নীতি তুলে নেওয়া হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিসেও ৫০ শতাংশ কর্মী কাজে যোগ দিতে পারবেন। তবে স্কুল-কলেজ এখনই খোলা হচ্ছে না।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া উপরাজ্যপালের কাছে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে।