নতুন পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হচ্ছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ

উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান  :: ঘোষ: প্রয়োজনে ট্রলি না মেলার অভিযোগ হামেশাই ওঠে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ট্রলি না পেয়ে কোলে চাপিয়ে রোগীকে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়াের্ড নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য হামেশাই দেখা যায় হাসপাতালে। ট্রলি না পেয়ে সমস্যায় পড়েন রোগীর পরিজনরা।

ট্রলির সমস্যা দূর করতে হাসপাতালে কিয়স্ক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেজন্য ৭০জন ট্রলিবয় নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে স্বাস্থ্যভবনে হাসপাতালের তরফে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন থেকে অনুমোদন মিললেই ট্রলিবয় নিয়োগ করা হবে।কিয়স্ক চালু হলে ট্রলি এবং ট্রলি ঠেলার লোকের সমস্যা মিটবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। দিনের বেলায় যদিওবা ট্রলি মেলে, রাতে তা পেতে দারুণ সমস্যা হয়। সেকথা মাথায় রেখেই ২৪ ঘণ্টা কিয়স্ক খোলা রাখা হবে। হাসপাতালে বেশিরভাগ সময় রোগীর চাপ থাকে। একই বেডে দু’–জন রোগী থাকে। বেড না মেলায় ওয়াের্ডর মেঝেয় রোগীরা থাকতে বাধ্য হন। সেই সমস্যা দূর করতে রাধারানি ওয়ার্ডটিকে ১০তলা ভবনে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার ফলে বেডের সমস্যা মিটবে।

আগামী বুধবার হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে। তার আগে রবিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ প্রবীর সেনগুপ্ত, হাসপাতালের সুপার ডাঃ তাপস ঘোষ, জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম, মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক সহ সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপ কমাতে হাসপাতালে আরও একটি এক্স–রে এবং এমআরআই মেশিন বসানোর প্রয়োজনীয়তার কথা জানানো হয় হাসপাতালের তরফে। শিশু ওয়াের্ড ঢোকার পথে ভিড় কমাতে এক্স–রে ও এমআরআই মেশিন অন্যত্র বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। হাসপাতালের যানজট সমস্যা দূর করতে জরুরি বিভাগের প্রবেশ পথ শ্যামসায়রের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া নিয়েও আলোচনা হয় সভায়।

হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি উইং অনাময় হাসপাতালের ট্রমা ইউনিটকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানে নিউরো সার্জন নিয়োগের বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়াও অনাময় হাসপাতালে আরও একটি ক্যাথল্যাব বসানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলবেন বলে মন্ত্রী আশ্বাস দেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + eighteen =