ফের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(এসটিএফ)–এর অভিযান হল বর্ধমানে।

উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: ফের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(এসটিএফ)–এর অভিযান হল বর্ধমানে। এবার ধৃত মাদক কারবারি বাবর মণ্ডলকে নিয়ে বর্ধমানে তার বাড়িতে আসে এসটিএফ। উল্লেখ্য,  গত ১০ জানুয়ারি বর্ধমান শহরের উপকন্ঠে মাদক চক্রের হদিশ মেলে। তল্লাশিতে এসটিএফ মাদকের কারখানার সন্ধান পায়। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। ধৃতরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।

বাবার নাম বাবর মণ্ডল ও ছেলের নাম রাহুল মণ্ডল। তাদের বাড়ি বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পালার মোড়ের কাছে গোপালনগর এলাকায়। এসটিএফের অভিযানে দু’জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উদ্ধার হয় ১৩ কেজি হেরোইন সহ প্রচুর মাদকের উপকরণ। বুধবার এসটিএফের দু’টি দল বর্ধমানে আসে।

একটি দল যায় বাবর মণ্ডলের গোপালনগরের বাড়িতে। সেখানে বাবর মণ্ডলের স্ত্রী সাবিনা মণ্ডল ও ছোট ছেলে রাজ মণ্ডলকে নিয়ে বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের বাড়িতে যায় এসটিএফের দল।

সেখানে বাড়িতে ঘণ্টাখানেক ধরে বাবর মণ্ডলকে নিয়ে তল্লাশি চালায় এসটিএফ। বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মেলে। বহু মূল্যের বেশ কয়েকটি জায়গার দলিল এসটিএফ উদ্ধার করে বাড়ি থেকে। উদ্ধার একটি নীল রংয়ের ডায়েরি। ওই ডায়েরি থেকে তদন্তকারীরা বেশকিছু তথ্য পান।

কাকে মাদক সরবরাহ করা হতো তার একটি তালিকা মেলে ডায়েরিতে। পাশাপাশি বাড়িতে থাকা একটি বিলাসবহুল দামি চারচাকা গাড়িটিও এসটিএফ সিজ করে নিয়ে যায়। সঙ্গে ছিল বর্ধমান থানার পুলিস।

গত ১০ জানুয়ারি গোপালনগরের বাড়ির সংলগ্ন কারখানা থেকে টাকা গণনা করার মেশিন, ওয়েট মেশিন পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছিল। উদ্ধার হয় ২০ লক্ষের বেশি টাকা। সেদিন ধৃতদের প্রথমে রাতে বর্ধমান থানায় রাখা হয়। পরের দিন অর্থাৎ সোমবার তাদের হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কারখানায় প্রচুর সংখ্যক প্লাস্টিকের জার পাওয়া যায়।

এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ জানুয়ারি মাদকচক্রের ভিন্ন কাণ্ডে মোট ছ’জন গ্রেপ্তার হয়। দু’’জন ওড়িশা ও দু’জনকে মণিপুর থেকে এসটিএফ গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় বাসিন্দা রামানুজ রায় বলেন, এত বড় একটা মাদক কারবার চললেও পুলিস–প্রশাসন কেন খবর পেল না তা নিয়ে আমরা আতঙ্কিত। আমরা চাই, এর সঠিক তদন্ত হোক। বর্ধমান থানার এক আধিকারিক বলেন, আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল এসটিএফ। তাই থানার পুলিস গিয়েছিল। এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 11 =