মধ্যপ্রদেশের ছিনদোয়ারায় আছে সেই পাতাল গ্রামে সেখানে থাকে ভুরিয়া জনগোষ্ঠির মানুষেরা

নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: বৈচিত্র্যময় ভারতে কয়েকটি গ্রাম রয়েছে, যেগুলোর অবস্থান পাহাড়ঘেরা দুর্গম জায়গায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট নিচে। সেসব গ্রামে দিব্যি বসবাস করছে মানুষ। সেখানে নিজেদের জন্য নিজেদের নিয়ে একটি স্বনির্ভর সমাজ গড়ে তুলেছে তারা। একে ‘পাতালপুরী’তে মানুষের বসবাস বললেও অত্যুক্তি হবে না। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে তাঁদের বড্ড অনীহা।

সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিচিত্র এই জায়গার নাম ‘পাতালকোট’। প্রতিবেদনে বলা হয়,  মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের চিনদোয়ারা জেলা শহর থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে সাতপুরা পাহাড়ে এর অবস্থান। সেখানকার ১২টি গ্রামের চারপাশে পাহাড়। মাঝের উপত্যকায় বসতি। জনসংখ্যা তিন হাজারের কম। দুর্গম গ্রামগুলোয় এত বড় বড় আর ঘন গাছপালা রয়েছে যে অনেক জায়গায় দিনের পর দিন সূর্যের আলো পৌঁছায় না। চরম অন্ধকারাচ্ছন্ন, স্যাঁতসেঁতে, রহস্যময় এক পাতালপুরী যেন এই জায়গা।

এসব গ্রামে ভুরিয়া জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে। তারা সেখানে কুঁড়েঘরে বাস করে। পাহাড় ও প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে তাদের জীবনযাপন। নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা তাদের। নিজেদের খাবার নিজেরাই উৎপাদন করে স্থানীয়রা। শুধু তেল ও লবণ কিনতে গ্রামের বাইরে আসতে হয়। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগে তাদের ভীষণ অনীহা। আগে দুর্গম এসব গ্রাম বাইরের জগৎ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। সম্প্রতি এই এলাকাকে নিকটস্থ শহরের সঙ্গে সড়কপথে সংযুক্ত করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। পর্যটকদের জন্য পাতালকোটের দরজা খুলে দিতেই সরকারের এই উদ্যোগ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 1 =