মালদা-ইংলিশবাজার শহরে বাড়ছে রঙ্গোলির চাহিদা।

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদা :: মালদা-ইংলিশবাজার শহরে বাড়ছে রঙ্গোলির চাহিদা। গত বছর পর্যন্ত ছিটছাট দেখা গেলেও এ বছর ব্যাপক বিক্রি রঙ্গোলির বাহারি রঙের গুলাল(‌একপ্রকার আবির)‌। প্রথমবার মালদা শহরে এসে লাভের মুখ দেখে খুশি বিক্রেতারা। এর আগে তেমন রঙ্গোলির চাহিদা দেখা যায় নি। দেখা গেলেও রকমারি আবির দিয়ে কাজ সারতে হয়েছে ঘরোয়া আল্পনা শিল্পীদের। শহরে সেই অর্থে বিশেষ করে রঙ্গোলির গুলাল পাওয়া যেত না।

এবার উত্তরপ্রদেশ থেকে শহরে ছুটে এসেছেন ২ বিক্রেতা। বিচিত্রা সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন লিয়াকত মিয়াঁ। কানপুরের মারারিতে বাড়ি তাঁর। তাঁর সঙ্গে এসেছেন তাঁর এক আত্মীয়। তিনি শহরের ফোয়ারা মোড়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। দিন সাতেকের জন্য এসেছেন মালদায়। কালীপুজোর পরের দিন ৪ নভেম্বর তাঁরা উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।

তাঁর মুখে শোনা গেল, উত্তরপ্রদেশে একে রঙ্গোলি বলে। সেই রঙিন আল্পনা বাংলাতেও রঙ্গোলি হিসেবেই প্রচলন। চালের গুড়ো, মার্বেল ডাস্ট, অ্যারারুট ও রঙ দিয়ে এই গুলাল তৈরি করা হয়। রকমারি গুলালের পাশাপাশি বিভিন্ন আকারের চালুনিও বিক্রি করছেন। গুলাল ৫০ গ্রামের দাম ১০ টাকা। আবার ১ কেজির দাম ২০০ টাকা। বিক্রিও বেশ হয়েছে। খুশি লিয়াকত। তিনি জানান, ‘‌এই প্রথমবার মালদায় এলাম। ভাবতেই পারিনি এখানে রঙ্গোলির প্রচলন হয়েছে। বিক্রিও বেশ হয়েছে। পরের বার আবার আসবো।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − four =