হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কালী পুজো চলছে সেই ইংরাজ আমলের ১৮৯৬ সাল থেকেই

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদা :: সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, বাল্যবিবাহ রোধ, কিংবা ভারতীয় সেনা এ ধরনের অভিনব থিম ফুটে উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পাড়া সার্বজনীন কালীপূজা মন্ডপ প্রাঙ্গণে। অভিনব থিম দেখতে কালী পূজার রাত থেকে ভিড় জমিয়েছিল এলাকার বাসিন্দারা।প্রসঙ্গত ব্রিটিশ আমলের থানা বলে পরিচিত হরিশ্চন্দ্রপুর থানা। ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানা। ব্রিটিশ সময় এ জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল সামলাতে এই থানা নির্মাণ করেছিল ইংরেজ সাহেবরা।

পরবর্তীতে এই থানা প্রাঙ্গণেই মন্দির করে কালী পূজার আয়োজন করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। প্রায় ৭০ বছরের পুরনো এই থানার কালীপুজো থানার পুলিশ আধিকারিকরা সহ-এলাকার বাসিন্দারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন। প্রতি বছরই এই পুজো কে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠে এলাকার মানুষ। আগে পাঁচ দিন ধরে যাত্রাগান অনুষ্ঠিত হতো এই পুজোকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে করোনা প্রভাব এসব বন্ধ থাকলেও নর নারায়ন সেবা বস্ত্রদান সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে থাকে এই পূজা কমিটি।

পূজা প্রাঙ্গণে গিয়ে গিয়ে দেখা গেলো বিভিন্ন মাটির পুতুলের মডেল দিয়ে সামাজিক বার্তা মূলক থিম তৈরী করা হয়েছে। মন্ডপ প্রাঙ্গণে ফুটে উঠেছে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, বাল্যবিবাহ রোধ প্রভৃতি সামাজিক বার্তা।এবছর থানা প্রাঙ্গণের কালীমন্দিরে তৈরি হয়েছে নতুন মন্ডপ। মণ্ডপসজ্জা দেখতেও ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার ভক্তরা।

এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান প্রতি বছর এলাকার বাসিন্দারা থানা প্রাঙ্গণে কালী পূজার আয়োজন করে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। থানার আধিকারিক এবং তাদের পরিবার এই পুজোয় অংশগ্রহণ করে। এ বছর আমরা কালী পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন মাটির পুতুল দিয়ে সামাজিক সচেতনতা মূলক থিম তৈরি করেছি। পুজোয় এবারে অভিনব আলোকসজ্জা থাকছে। সে সঙ্গে সঙ্গে থাকবে নরনারায়ন সেবা ও বস্ত্র দান কর্মসূচী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 1 =