হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনও শোভনের স্ত্রী, বিয়ের কথা একবার ভেবে দেখুক! চরম হুঁশিয়ারি রত্নার

নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: বিজয়া দশমীর পুণ্যলগ্নে যখন মহিলারা সিঁদুর খেলায় ব্যস্ত, তখন সেই সিঁদুরের রঙে বৈশাখীর সিঁথি রাঙিয়ে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। একেবারে মা দুর্গাকে সাক্ষী করে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। শোভন-বৈশাখীর ছবি আর ভুরি ভুরি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মধ্যে জল্পনার পারদ চড়ছে, তখন শোভনের প্রিয় বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্পষ্ট করে দিলেন আসল কথা।স্পষ্ট জানালেন, সম্পর্ক নিয়ে কোনও দিনই লুকোচুরি কিছু ছিল না।

তবে এই ছবি দেখে রীতিমত চটেছেন বৈধ স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনও শোভনের স্ত্রী’। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা এখনও যে তাঁদের মধ্যে চলছে তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন রত্নাদেবী। দমশী দিন সন্ধ্যায় শোভনবাবু বৈশাখী দেবীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন। সেই ছবি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুলে দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরেই তাঁদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চর্চা শুরু হয়ে যায়।

কেউ সমালোচনা করেন কেউ আবার তাঁদের সাহসীকতাকে স্যালুট জানান। তবে এই প্রসঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যাতেই মুখ খোলেন শোভনের শ্বশুর মশাই তথা মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস। তাঁরা সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে বলেও তীব্র এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হন। এমনকি দুজনেও পাগল বলেও তোপ দাগেন। দুলালবাবু জানান, সমাজকে দূষিত করছে। তাই প্রশাসনের উচিত ওদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করা। পাগল হয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে। ব্যাভিচার করছে বলেও তোপ দাগেন তিনি।

আর এই প্রসঙ্গে আজ শনিবার মুখ খোলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, আইন বলে এখনও কিছু আছে। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী যেহেতু আমি শোভন স্ত্রী এখনও আর তাই অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না বলেও তোপ রত্নার। এমনকি এই প্রসঙ্গে নাম না করে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষিতার সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি। বলেন, ‘‘স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্য কোনও স্ত্রীলোকের সঙ্গে থাকে, তাহলে ওই স্ত্রীলোককে সমাজ ‘রক্ষিতা’ বলে। রক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না।” তবে এই প্রসঙ্গে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 1 =