নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হুগলি :: মৃত বছর তিরাশির কালীপদ দাস। ভদ্রকালীর কবি কিরণধন রোডের বাসিন্দা রেলের অবসরপ্রাপ্ত এই প্রবীণ। বাড়িতে স্ত্রী গীতাদেবী অসুস্থ, শয্যাশায়ী। মেয়ে কেয়া অধিকারী বিবাহবিচ্ছিন্না। বাবার বাড়িতেই থাকেন ছেলে অভিষেককে নিয়ে। বছর চব্বিশের নাতি অভিষেকের পড়াশোনা-সহ যাবতীয় খরচ এতদিন বহন করেছেন কালীপদবাবুই। জগদ্ধাত্রী পুজোর সকালে এই পরিবারেই আচমকা ঘটে গেল অপ্রীতিকর ঘটনা। মেয়ের হাতেই খুন হলেন বাবা !
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সকাল ১১টা নাগাদ এই বাড়ি থেকে বৃদ্ধের চিৎকার শোনা যায়। আশেপাশের বাসিন্দারা উঁকিঝুঁকি দিয়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করেন। দেখা যায়, অভিষেক দুটি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।তা দেখার পরই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা বৃদ্ধের বাড়ি গিয়ে দেখেন, তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। স্থানীয় এক চিকিৎসককে খবর দেন প্রতিবেশীরা। তিনি এসে পরীক্ষা করে জানান, বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশীদের সন্দেহ গিয়ে পড়ে মেয়ে ও নাতির উপর। উত্তরপাড়া থানায় খবর পাঠানো হয়।
পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় মেয়ে কেয়া জানিয়েছে, তার সঙ্গে বাবার অশান্তি লেগে থাকত। মেয়েকে গালিগালাজ, এমনকী মারধরও করতেন বাবা। এদিনও তেমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাড়িতে। তাতেই কেয়া রেগে বাবাকে পেটায়। তবে তাতে যে বাবার মৃত্যু হবে, তা নাকি ভাবতে পারেনি অভিযুক্ত মেয়ে। পুলিশী তদন্ত শুরু হয়েছে |