করোনার প্রকোপ কাটিয়ে আবারো বারুইপুরের ঐতিহাসিক রথের দড়িতে টান সাধারণ মানুষজনের।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: গত ২ বছর অতিমারীর দাপটে দেশ দেখেছে ভয়াবহ মড়ক ! যাবতিয় উত্‍সবের মরশুমে যখন রাস্তা ভিড়ে ঠাসা থাকত, সেই মরশুমেই দেশের নানান রাস্তা ফাঁকা ছিল করোনা লকডাউনের জেরে। তবে অভিশপ্ত সময় কাটিয়ে এবার বাংলার অন্যান্য রথ যাত্রার পাশাপাশি বারুইপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির রথ যাত্রা ফিরছে চেনা ছবি নিয়ে।প্রায় ৩৫০ বছর পুরনো ঐতিহাসিক রথ উৎসব। কথিত আছে যে, সাড়ে ৩৫০ বছর আগে রায়চৌধুরীর বাড়ি জমিদার এই রথ উৎসবের সূচনা করেন।

এরপর বংশ পরম্পরায় প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই রথ উৎসব চলে আসছে। জমিদারি জৌলুস অনেকটাই ফিকে পড়ে গিয়েছে বারুইপুর রায়চৌধুরী বাড়িতে। কিন্তু প্রাচীন সেই রীতিনীতি মেনেই আজও চলে আসছে রথ উৎসব।

পুরীর রথযাত্রার নিয়ম মেনে পালন করা হয় এই রথযাত্রা । লোকবল সেভাবে না থাকলেও রথের সময় আশে পাশের অঞ্চল থেকে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এই রথ যাত্রাকে ঘিরে। গত দুবছর করোনা সংক্রমণের জেরে রথ যাত্রা বন্ধ ছিলো।

আবার করোনা সংক্রমণ আলগা হতেই বারুইপুর রাস ময়দানে প্রচুর মানুষের ভীড় উপছে পড়ে। একটু রথের রশি ধরে টান দেওয়ার জন্য ।

এই রথকে কেন্দ্র করেই চৌধুরীদের রাস ময়দানে বসে বিরাট মেলা ।চলে একমাস ধরে । প্রচুর দোকানপাট । কি নেই সেই মেলায় । বিক্রি হয় হরেক জিনিসপত্র । বিশেষ করে খাবারের মধ্যে জিলিপি ও বাদামের দোকান বসে লাইন দিয়ে। এছাড়া বিশেষ উল্লেখযোগ্য লোহার ও কাঠের তৈরি জিনিসপত্র ও গাছের দোকান ।

জগন্নাথ ধাম পুরি রথ যাত্রা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের সমাগম হয় জগন্নাথ ধামে। সেই রকমই বারুইপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির রথ দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীরা ছুটে আসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *