করোনার সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার- ৩রা জানুয়ারি থেকে রাজ্যে জারি বিধি নিষেধ

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: রাজ্যে দিনকে দিন ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। করোনার সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। ৩রা জানুয়ারি থেকে রাজ্যে জারি হয়েছে বিধি নিষেধ। সোমবার থেকে রাজ্য স্কুল-কলেজ সমস্ত বন্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন অফিস গুলিতে ৫০% কর্মী নিয়ে অফিস খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রেল সহ একাধিক গণপরিবহনে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা ৫০% যাত্রী নিয়ে চলবে রেল। সন্ধ্যা সাতটার পর লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রকাশিত বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। করণা সংক্রমিত হয়েছে ৬ হাজার ১৫৩ জন।

সোমবার সকাল থেকেই ডায়মন্ড হারবার শিয়ালদা শাখা লোকাল ট্রেন গুলিতে বাদুর ঝোলা ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে মাঠে নেমে পড়েছে ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর, সোনারপুর, কাকদ্বীপ সহ একাধিক রেলস্টেশনে কর্তব্যরত পুলিশ।

রেল পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি যাত্রীদের স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে সকল যাত্রীরা স্টেশন চত্বরে ঘোরাঘুরি করছে তাদেরকেও কড়া ধমক দিচ্ছে রেল পুলিশ। ৫০% যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশে বিপাকে পড়েছে নিত্যযাত্রীরা। নিত্যযাত্রীদের দাবি, ৫০% যাত্রী কিভাবে গণনা করবে রেল কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে কমানো হয়েছে ট্রেনের সংখ্যা যে সকল নিত্যযাত্রীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন স্টেশন থেকে শিয়ালদা কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

ট্রেনের সংখ্যা কম থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ট্রেন গুলিতে অস্বাভাবিক থাকে এতে করোনা সংক্রমণ কমার বদলে বৃদ্ধি পাবে। সন্ধ্যা সাতটার পর লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় অসুবিধায় পড়বে নিত্যযাত্রীরা। বহু মানুষ শিয়ালদা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন প্রান্তের সন্ধ্যা সাতটার পরে ট্রেনে করে বাড়ি ফেরে ।

সাতটার পরে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার জন্য সেই সকল যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে ফলে ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ট্রেনের সংখ্যা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে কিছুটা হলেও যাত্রীদের চাপ কমবে। রাজ্যে যে ভাবে দিনের পরদিন করোনা পরিস্থিতি লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মাথায় চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *