কাকভোরে ছেলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল আম গাছ থেকে।শনিবার ভোরে মালদহের চাঁচল থানার খুড়িয়াল গ্রামে

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: মা কে রাতে বলেছিল সকালে আইনজীবীর পরীক্ষা দিতে যাব ভাত রান্না করে দিও। কিন্তু মায়ের হাতের রান্না আর খাওয়া হল না ছেলের। কাকভোরে ছেলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল আম গাছ থেকে।শনিবার ভোরে মালদহের চাঁচল থানার খুড়িয়াল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে। রাতেই চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।তবে পরিবারের অভিযোগ প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সাথে বিবাদের জেরে আত্মঘাতী ছেলে।গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ওই যুবকের নাম বাপি দাস (বয়স ২৪) চাঁচল থানার অলিহণ্ডা পঞ্চায়েতের খুড়িয়াল গ্রামে বাড়ি। যুবক পেশায় সবজি আড়ৎ-এ কর্মরত ছিল। এছাড়াও ওই যুবক এক আইনজীবীর ছাত্র।

তবে যুবকের দুটো বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর বছর খানেক দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও সম্পর্ক থাকার কারণে এই ঘটনা বলে দাবি পরিবারের।মৃত যুবকের মা সান্তনা দাস বলেন, ছেলে রাতে বাড়ি এসে বলে কাল সকালে আইজীবির পরীক্ষা দিতে যাবো ভাত রান্না করে রেখো এই বলে ছেলে ঘরে চলে যায়। আজ ভোরে দেখতে পাই বাড়ির পাশে আম বাগানে ঝুলছে আমার ছেলের দেহ। আমার এক মাত্র ছেলে। বাবা মা ও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সাথে কোন রকম অশান্তি ছিল না।

কি কারণে আত্মহত্যা করল আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। তবে মৃত্যুর কারণ লুকিয়ে ছেলের মোবাইল ফোনে বলে দাবি করেন মৃতের মা। বাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। খুন না আত্মহত্যা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ মৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =