নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নৈহাটি :: উত্তর 24 পরগনা: কয়েক বছর ধরে থিম ভাবনায় উত্তর 24 পরগনার বারাসাতের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিচ্ছে নৈহাটির কালী পুজো। তবে নৈহাটির কালী পুজোর খ্যাতি কিন্তু ঐতিহ্যবাহী বড়মার পুজো ঘিরেই। এবারে বড়মা-র পুজো আনুমানিক একশো বছরে পদার্পন করল।
কথিত আছে, একদা বন্ধুদের সঙ্গে নবদ্বীপে রাস উৎসবে গিয়েছিলেন নৈহাটির বাসিন্দা জুটমিল কর্মী তথা সমাজসেবী ভবেশ চক্রবর্তী। সেখানে গিয়ে বড় বড় প্রতিমা দেখেছিলেন। তারপর নৈহাটি তিনি বড় কালী পুজোর প্রচলন করেন। তখন থেকেই অরবিন্দ রোডের এই পুজো ভবেশ কালি হিসেবেই পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে তা “বড় মা” হিসেবেই জনমানসে ছড়িয়ে পড়ে।
২১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ঘন কৃষ্ণবর্ণ প্রতিমা স্বর্ণলঙ্কারে ভূষিত। বড়মা পুজোর মূলমন্ত্র, ধর্ম হোক যার যার, বড়মা সবার। তবে প্রাচীন প্রথা মেনে অত্যন্ত জাগ্রত নৈহাটির বড়মা কালীপুজোর কাঠামো পুজো হয়ে থাকে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন। মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার পর কলকাতা ছাড়াও সুদূর দুর্গাপুর, আসানসোল, কোচবিহার ও উত্তরবঙ্গ থেকে পুণ্যার্থীরা পুজোর দিন ভিড় জমান।
স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কের লকারে দেড় কোটি টাকা মূল্যের দেবীর গয়না গচ্ছিত রাখা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার পুজোর দিন বড়মাকে সেই গয়না পরানো হয়। দেবীকে ফুলের অলঙ্কারে রানীর বেশে সজ্জিত করে মিষ্টি মুখ করিয়ে ফেরিঘাটে বিসর্জন দেওয়া হয়। তারপর নৈহাটির অন্যান্য প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
বড়মা মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন দত্ত বলেন, “কোভিড বিধি মেনে এবারও পুজো করা হচ্ছে। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ভক্তরা পুজো ও অঞ্জলি দিতে পারবেন। দন্ডি কাটা এবারও নিষিদ্ধ থাকলেও, আবেগের বশে পুণ্যার্থীরা এদিন ভোর থেকেই দন্ডি কাটেন”।