চিংড়িঘাটাতে একের পর এক পথচারীকে পিষে দিল ঘাতক গাড়ি, মৃত এক, আশঙ্কাজনক বহু

নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: সকালের পর ফের বিকেল। ভয়াবহ দুর্ঘটনা শহরের বুকে। একের পর এক পথচারীকে পিষে দিল ঘাতক গাড়ি। জানা যাচ্ছে, প্রায় ছয়জনকে পিষে দিয়েছে ওই গাড়িটি। যার মধ্যে ইতিমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে যান বিধাননগর এবং কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কেন এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও। জানা গিয়েছে, একেবারে চিংড়িহাটা মোড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। দিনের সময়সময়ে ওই অঞ্চলে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলে। তেমনই আজ শনিবার বিকেলে দ্রুত গতিতে একটি গাড়ি হঠাত করেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি বাসের জন্যে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের উপর উঠে যায় বলে জানা যায়।

আর সেই সময়ে রাস্তা পার হওয়ার সময়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশ কয়েকজন। ঘাতক গাড়িটি একেবারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একের পর এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। জানা গিয়েছে, দাঁড়িয়ে থাকা ছয়জনকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। দ্রুত বাকি পাঁচজনকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

ইতিমধ্যে ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পরিবারকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। চিংড়িহাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। আর তাতই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তরি হয় এলাকা। যদিও ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। উল্লেখ্য, এদিন সকালেও বড়সড় একটি দুর্ঘটনার ঘটে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক স্কুটার আরোহীর।

বাঘাযতীন উড়ালপুলের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটারে ধাক্কা দেয় একটি বাস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক চালকের। জানা গিয়েছে, আরোহীর নাম শুভজিৎ সুর। ঘটনায় ঘাতক বাসটির চালকের খোঁজে পুলিশ। কারন ঘটনার পরেই এলাকা ছেরে পালিয়ে যায় চালক। উড়ালপুলের ঢাল বরাবর বাস আপন গতিতে চলে বেশ কিছু দূর যায়। শেষমেশ বাসেরই এক যাত্রী সেটিকে থামান। না হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *