কুমার মাধব :: মালদহ :: চাঁচল : :: সংবাদ প্রবাহ :: জেঠুর শ্রাদ্ধের ক্রিয়া কর্মের কাজ সেরে নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল এক নাবালিকা ।বুধবার সকালে মালদহের চাঁচল থানার মহানন্দা নদীর গালিমপুর-মথুরাপুর ঘাটের ঘটনা।ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
দেহ তল্লাশির জন্য বাসিন্দারাই নদীতে মাছধরার জাল ফেলে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে চাঁচল থানার পুলিশ।নাবালিকার দেহ উদ্ধারের জন্য রওনা দিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই নাবালিকার নাম টগরী দাস(বয়স ১০)বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিমি দুরত্ব দরিয়াপুরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সম্প্রতি,কয়েকদিন আগে পরিবারে মারা যান ওই নাবালিকার জেঠু।বুধবার ছিল তারই ক্রিয়াকর্ম।ক্রিয়া কর্ম সেরে বাবার হাত ধরে নদীর ঘাটে স্নান করতে যায় টগরী।কিন্তু স্নান করতে গিয়ে নদীর জলে তলিয়ে যায় নাবালিকা।তৎক্ষণাৎ পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা নদীর জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন।চলে তল্লাশি অভিযান।কিন্ত দুপুর পর্যন্ত মিলেনি নাবালিকা খোঁজ।ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে,দুটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দল দেহ তল্লাশির জন্য রওনা দিয়েছে।
নিখোঁজ নাবালিকার বাবা হরেশ মন্ডল জানান, দশ দিন আগে দাদা মারা গিয়েছে, আজ দাদার শ্রাদ্ধের ক্রিয়া কর্ম ছিল। পরিবারের লোকজন নিয়ে আমরা নদীতে এসেছিলাম স্নান করতে। আমার সাথে আমার মেয়ে স্নান করতে নেমে নদীর জলে তলিয়ে যায়। অনেক খোঁচাখুঁজির পর এখনো পর্যন্ত মেয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিনা।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচোল বিধানসভার বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ ও বিডিও সমিরন ভট্টাচার্য। নিখোঁজ নাবালিকার পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি দ্রুত দেহ উদ্ধারের জন্য নির্দেশ দেন।