ঝাড়গ্রাম শহরে জমি দালাল ও প্রমোটারদের দৌরাত্ম্য, অসহায় বৃদ্ধাকে মারধর,ভাংচুর গ্রেফতার দুই প্রমোটার

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ঝাড়গ্রাম :: ঝাড়গ্রাম শহরে জমি দালাল ও প্রমোটারদের দৌরাত্ম্য, এক অসহায় মহিলাকে মারধর,ঘর ভাংচুর করে উচ্ছেদ করার চেষ্টা,অভিযুক্ত দুই প্রমোটার গ্রেফতার এলাকায় চাঞ্চল্য।*অপরদিকে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ ঝাড়গ্রাম শহরের ১২ নং ওয়ার্ড নৃপেনপল্লী এলাকায়।

দুটি ঘটনায় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঝাড়গ্রাম শহরে জমি দালাল চক্র ও প্রোমোটারদের দৌরাত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছে।যার জন্য নাজেহাল শহরবাসী।বিভিন্ন সময় সরকারি জমি,খাসজমি,রায়ত জমি থেকে উচ্ছেদ করে দখলের অভিযোগ উঠৈছে।সোমবার ঝাড়গ্রাম পৌরসভার রঘুনাথপুর এলাকার সাততলা আবাসন এলাকায় বসবাসকারী এক মহিলাকে মারধর করে তার বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ এর চেষ্টা করে দুই প্রোমোটার বলে অভিযোগ।

এমনকি তার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ওই প্রমোটারদের লোকজন বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঝাড়গ্রাম পৌরসভার রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা জি কে রত্না নামে ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন ।রবিবার দেবাশীষ গাঙ্গুলি ও আশীষ ঘোষ নামে দুই প্রমোটার তাদের লোকজন নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে।তার বাড়ি ভাঙচুর করে তাকে মারধর করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আতঙ্কিত অবস্থায় সারাদিন তিনি বাড়িছাড়া ছিলেন।সোমবার রাতে ও তিনি নিজের বাড়িতে থাকতে পারেননি।ওই দিন রাতেই ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ঝাড়্গ্রাম থানার পুলিশ দেবাশীষ গাঙ্গুলি ও আশীষ ঘোষ নামে দুই প্রমোটার কে গ্রেফতার করে।মঙ্গলবার তাদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়।

ওই বাড়িটি দখল নেওয়ার জন্য এর আগে একাধিক বার হুমকি ও দখলের চেষ্টা করছে প্রমোটাররা বলে তিনি অভিযোগ করেন। যার ফলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ।

অপরদিকে সাতসকালে ঝাড়গ্রাম শহরের ১২ নং ওয়ার্ডের নৃপেনপল্লী এলাকায়,কংসাবতি কেনেলের পাশের সরকারি জমি দখলের, চেষ্টা করে এলাকার কিছু অসাধু মানুষ জন।ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনাস্থলে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ এসে সরকারি জমি দখল মুক্ত করে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *