দলের নেতা কর্মীদের বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর , মন্তব্য সুজনের।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: বারুইপুর :: সংবাদ প্রবাহ ::  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সকলকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বেড়েছে “জল্পনা”। রাজ্যের বর্ষিয়ান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী মন্তব্যে জল্পনার আগুনকে জিয়ে রাখলো বলে মনে করা করছে রাজনৈতিক মহল। শনিবার বারুইপুরের সিপিএমের পার্টি অফিসে সংবাদ কর্মীদের মুখোমুখি হন বড়শিয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

মমতা দিল্লি সফরকে ঘিরে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে সমঝোতা করতে গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দেশের প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে নিজে থেকেই নিজের নাম ঘোষণা করছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সফর করার মূল কারণ হচ্ছে নিজেদের দলের নেতাকর্মীদের সিবিআই ইডির হাত থেকে বাজানো। যেভাবে একের পর এক দুর্নীতিতে মুখ পুড়ছে দলের। এছাড়া উপায় নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

সুজন চক্রবর্তী তিনি আরো জানান, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থান সঠিক নয়। উপরাষ্ট্র প্রতি নির্বাচনে ভোটাভটিতে অংশগ্রহণ না করে আখেরে বিজেপির হাত শক্ত করছে তৃণমূল।

রাজ্যে কলেজগুলিতে কোন নির্বাচন হয়নি, তা সত্বেও কলেজ ভর্তির সময় ছাত্র পরিষদের নাম করে টাকা নিচ্ছে তৃণমূল। যে কটি কলেজে ছাত্রনির্বাচন রয়েছে সেই কলেজে নিজেদের দখলদারি রাজ চালাচ্ছে তৃণমূলের লোকেরা। শিশির অধিকারী প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী তিনি বলেন, তৃণমূল বিজেপি, এখন সবই এক, কাল যে তৃণমূলে আজ সে বিজেপিতে ,আজ যে বিজেপিতে কাল সে তৃণমূলে।

অর্জুন সিং আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির সাংসদ কিন্তু সে এখন তৃণমূলে। আবার উল্টো দিক থেকে অধিকারী পরিবারের শিরির অধিকারী তৃণমূলের সংসদ। কে তৃণমূলের কে বিজেপি এ রাজ্যে বোঝাই যায় না!

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের মিটিংয়ে অনুপস্থিতি থাকেন।আর এখন নিজে বাঁচতে দিল্লি ছুটেছে। এখন সকলের কাছে সবই পরিষ্কার। তিনি আরো জানান, কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার এখন নাম পরিবর্তনের খেলায় মেতেছে ইন্দিরা আবাস যোজনার নাম পরিবর্তন করে এখন কেন্দ্র করেছে “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা”।

সেই প্রকল্প যখন রাজ্যের মানুষ পাচ্ছে সেই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে “বাংলা আবাস যোজনা”। মানুষ দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে কোন প্রকল্পের নাম লিখব। তৃণমূল ডুবতে বসেছে, বাঁচার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সফর। মানুষ সবকিছু এখন জানতেও পেরেছে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যেভাবে নাম জড়িয়ে পড়েছে তাতেই বলা যেতেই পারে কিছুটা হলেও ব্যাগপুটে কাজ ফুল শিবির।

রাজ্যে দুর্নীতিতে যেভাবে একের পর এক দলের নেতাকর্মীদের কার্যকলাপ প্রকাশ্যে আসছে তাতে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। দলকে দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচাতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে মন্ত্রীসভায় একাধিক রদবদল করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় উঠে এসেছে একাধিক নতুন মুখ। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভায় রদবদল ও একাধিক নয়া পদক্ষেপে কি রক্ষা করতে পারবে নিজের দলকে ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *