তুষার প্রধান :: সংবাদ প্রবাহ :: কার্সিয়ং :: সোমবার দিনভর বৃষ্টি হলেও মাঝরাত থেকে তা মুষলধারে শুরু হয়। আর একরাতেই পাহাড়ে ধস নেমে, রাস্তা ভেঙে একাধিক জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নর মতো সমস্যা তৈরি হয়েছে। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। বড় বিপদ এড়াতে আপাতত সান্দাকফু ট্রেকিং বন্ধ করল দার্জিলিং জেলা প্রশাসন।
দার্জিলিং , কালিম্পং, তাগদার মতো পাহাড়ি এলাকা ছাড়া সমতল শিলিগুড়িও বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। তবে পাহাড়ি এলাকায় বিপদ বেশি। রিম্বিকের পালমাজুয়া ব্রিজের কাছে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই এলাকায় এত সহজে রাস্তা মেরামত সম্ভব নয়। তাই বিপদ এড়াতে রিম্বিক ও সান্দাকফুর ট্রেকিং আগামী ১২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুণ্যবালম বলেন, ”ধসের কারণে রিম্বিক ও সান্দাকফু ট্রেকিং আপাতত বন্ধ।”এতে খানিকটা হতাশ ট্রেকাররা। পুজোর ছুটির সময়ে ট্রেক করতে যান অনেকেই। তবে আবহাওয়া এতটা খারাপ হওয়ায় তা আপাতত বাতিল। এদিকে, তাগদা-তিনচুলে এবং কালিঝোরা-রংপো যোগাযোগকারী রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুপুর থেকে এসব জায়গায় থমকে পর্যটকদের গাড়ি।
অন্যদিকে, কালিম্পং, লাভায় রাস্তা ভেঙে গিয়েছে ধসের কারণে। সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে মাঝপথ থেকেই ফিরতে হচ্ছে পর্যটকদের। তাকদায় একটি বাড়ি ভেঙেছে। যদিও বাড়ির সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। সিকিমের কাছে ধসের জেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি গাড়ি। পাথরের ধাক্কায় একটি গাড়ি সোজা খাদে গিয়ে পড়ে। আহত হয়েছেন যাত্রীরা। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় বলে খবর।