নভেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে শুরু হয় গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির কাজ ।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: আগামী জানুয়ারি মাসে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা । “সব তীর্থ বার বার , গঙ্গাসাগর একবার” । তাই মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর কপিলমুনির পুণ্য তীর্থে ভিড় জমায় কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী । সেই বিষয় মাথায় রেখে গত নভেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে শুরু হয় গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির কাজ ।

কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে নিম্নচাপ ও অমবস্যার কোটালের জোড়া ফলায় তছনছ হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগরের উপকূল। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় ব্যাঘাত ঘটেছে মেলার প্রস্তুতির কাজেও। যত দিন যাচ্ছে এগিয়ে আসছে সমুদ্র।

ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গঙ্গাসাগর মেলার ২ নম্বর রাস্তার সোজাসুজি স্নানের ঘাট বরাবর বিস্তীর্ণ সমুদ্রতট সংলগ্ন বাঁধ। আগামী জানুয়ারি মাসে গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে নভেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে নতুন করে কংক্রিটের স্নান ঘাট তৈরির পাশাপাশি বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছিল সেচ দপ্তর ।

কিন্তু গত সপ্তাহে বৃষ্টির সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের জেরে নতুন করে স্নান ঘাট তৈরীর জন্য কংক্রিটের ঢালাই ও ঘাটের দু’পাশে বাঁধ তৈরীর জন্য শাল বল্লা বসিয়ে মাটি ও বালির বস্তা ফেলা হলেও সমস্তটাই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।

জলের স্রোতের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও । স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি ,যেভাবে সমুদ্র দিনের পর দিন এগিয়ে আসছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিন কপিলমুনির মন্দিরও অতীতের মন্দিরের মতন সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ।এমনকি প্রবল জলচ্ছ্বাসের জেরে মেলা প্রাঙ্গনে যাত্রী শেড তৈরীর জন্য মজুত করা প্রচুর বাঁশও ভেসে গিয়েছে সমুদ্রে ।

বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে ছই সহ নানান সামগ্রী । হাতে আর মাত্র একমাস । ক্ষতির ধাক্কা সামলে উঠে এত কম সময়ের মধ্যে নতুন করে পরিকাঠামো তৈরি করাটাই এখন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ।

সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানান, নিম্নচাপ ও কোটাল এর জেরে কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে মেলা প্রস্তুতির কাজ । কিন্তু সেচ দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালানো হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মন্দির প্রাঙ্গণ লাগোয়া সমুদ্র বাঁধের দিকে বিশেষ নজর রেখেছে সেচ দপ্তর । গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের কোনরকম খামতি রাখতে চাইছে না জেলা প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *