পচা ডিম খেয়ে অসুস্থ দুই শিশু।পঁচা ডিম দেওয়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার ভিজিট করতে এসে তালা বন্দী হলেন সুপারভাইজারও।ভিলেজ পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন

কুমার মাধব  :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: ২৯ শে মার্চ :: পচা ডিম খেয়ে অসুস্থ দুই শিশু।পচা ডিম দেওয়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার ভিজিট করতে এসে তালা বন্দী হলেন সুপারভাইজারও।ভিলেজ পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন সে।এই নিয়ে বুধবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য,সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর-৩ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মী বিনতি দাসের বিরুদ্ধে শিশুদের পঁচা ডিম ও অনিয়মিত খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনী কে সেন্টারে তালা বন্দি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় অভিভাবকেরা।সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে সুপারভাইজার রুমি মন্ডল ও সিডিপিও আব্দুল সাত্তার।

বুধবার সকালে সুপারভাইজার রুমি মন্ডল ওই সেন্টার টি ভিজিট করতে আসলে অভিভাবকেরা অভিযোগ জানাতে তার কাছে ছুটে যায়। অভিযোগ,সুপারভাইজার অভিভাবকদের অভিযোগ না নিয়ে নিজের মতো করে সেন্টার ভিজিট করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবকেরা সুপার ভাইজার,অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাধুনীকে এক ঘরে আটকে রেখে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ভিলেজ পুলিশ অনির্বাণ ঝা ও সিডিপিও আব্দুল সাত্তার।ভিলেজ পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পায় সুপারভাইজার।এরপর সিডিপিও আব্দুল সাত্তার অভিভাবকদের কাছ থেকে সরাসরি অভিযোগ শোনেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাস কে এই সেন্টার থেকে ট্রান্সফার করিয়ে দেন।

সেখ হারুন রশিদ নামে এক অভিভাবক জানান, সোমবার সেন্টার থেকে দেওয়া পঁচা ডিম খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তার নাতিন।রাত থেকেই শুরু হয়েছে শিশুটির পাতলা পায়খানা ও শ্বাসকষ্ট। বাচ্চাটির কিছু হলে তার দায় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকেই নিতে হবে বলে দাবি তুলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *