পশ্চিমবঙ্গে সেরা সম্মান পেল ‘ভাগের মা’ প্রতিমা

নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে। এবার পূজা হয়েছে ৩৬ হাজারের বেশি মণ্ডপে। এর মধ্য থেকে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ পাওয়া ১১৩টির মধ্যে ‘সেরার সেরা’ সম্মান পেয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বড়িশা ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা।

দেশভাগকে সামনে রেখে বড়িশা ক্লাবের এবারের দুর্গাপূজার থিম ছিল ‘ভাগের মা’। তাতেই তারা পেয়েছে ‘সেরার সেরা’ সম্মান। বড়িশা ক্লাবের দুর্গা প্রতিমায় উঠে এসেছে বন্দিশিবিরে সপরিবারে মা দুর্গার অবস্থানের এক অভিনব চিত্র। সেরা এই দুর্গা প্রতিমাকে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের জিন্দাল গোষ্ঠী।

জিন্দাল গোষ্ঠী তাদের কলকাতার নিউটাউনে নির্মাণাধীন সংগ্রহশালায় এই দুর্গা প্রতিমাকে সংরক্ষণ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে নিউটাউনের সংগ্রহশালা নির্মাণ শেষ হওয়ার আগে এই দুর্গা প্রতিমাকে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে। আপাতত এই প্রতিমা থাকবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর শিল্প দপ্তরে।

শুক্রবারই জিন্দাল শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে এই প্রতিমার কারিগর রিন্টু দাস ও বড়িশা ক্লাবের একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামীকাল রোববার এই প্রতিমা কলকাতার বড়িশা ক্লাব থেকে নিয়ে যাওয়া হবে জিন্দাল গোষ্ঠীর শালবনীর শিল্পাঞ্চলে। মূলত জিন্দাল গোষ্ঠীর পরিবারের সদস্যরা দুর্গা প্রতিমা দেখতে এসে বড়িশার মূর্তি দেখে মুগ্ধ হন। তারপর এটি সংরক্ষণের প্রস্তাব দিলে রাজি হয়ে যায় বড়িশা ক্লাব এবং মূর্তির কারিগর ও শিল্পী রিন্টু দাস।

২০১৯ ও ২০২০ সালেও রিন্টু দাসের তৈরি প্রতিমা সাড়া ফেলেছিল কলকাতায়। ওই দুটি প্রতিমাও সংরক্ষণ করেছিল রাজ্য সরকার। ২০২০ সালের তাঁর প্রতিমার থিম ছিল ‘পরিযায়ী উমা’। করোনায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসা মৌসুমি পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন নিয়ে গড়া হয়েছিল দেবী দুর্গাকে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এবার ‘সেরার সেরা’ পূজার তালিকায় রয়েছে ২৫টি পূজা। এর মধ্যে ‘সেরার সেরা’ করা হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বড়িশা ক্লাবকে। সেরা পূজার তালিকায় আরও রয়েছে বাবুবাগান সর্বজনীন, চক্রবেড়িয়া, হিন্দুস্তান ক্লাব, চেতলা সর্বজনীন, চেতলা অগ্রণী, ত্রিধারা সর্বজনীন, নাকতলা উদয়ন সংঘ, টালা প্রত্যয় সর্বজনীন, সুরুচি সংঘ, একডালিয়া এভারগ্রিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *