নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মগরাহাট :: আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে মগরাহাটের বেণীপুরে তখন ছিলো ঘন জঙ্গল। সুভাষগ্রাম কোদালিয়া মাহিনগরের জমিদারি ছেড়ে মগরাহাটের বেনীপুরের জঙ্গল সাফ করে বসতি স্থাপন করেন জমিদার বিজয়রাম বসু ।নির্মাণ করেন প্রাসাদোপম বাড়ী। বেনীপুরের জমিদারি পত্তনের সঙ্গে সঙ্গে জাকজমোক করে শুরু হয় দেবীর আরাধনা।
তার পর থেকেই প্রতি বছর বেনীপুরের বসু বাড়িতে ধূম ধাম করে পালিত হয় দূর্গা পূজা ।পুজার জন্য আলাদা করে তৈরী হয় বিশাল দালান। বসুবাড়ির পুজো এ বার ২৮৯ বছরে পা দিল ।প্রাচীন প্রথা মেনে এখনও পুজো হয়ে আসছে এখানে। তবে বলি প্রথা এখন আর নেই। বংশ পরম্পরায় অবশ্য একটি পরিবারই প্রতিমা তৈরি করে আসছে।
প্রতি বছরই ডাক পড়ে পুরোনো ঢাকিদের। পুরোহিতের ক্ষেত্রেও একই প্রথা চলছে। কালের নিয়মে জমিদারি আজ আর নেই। কিন্তু পরিবারের নতুন প্রজন্মের সদস্যরা পুজোতে কোন ভাটা পড়তে দেননি।সাড়ম্বরে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে বাড়ীর পুজো।দিন যত গড়িয়েছে জৌলুস বেড়েছে পুজোর। জৌলুস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পরিবারের ঐতিহ্যকেও সমানতালে ধরে রেখেছেন পরিবারের বর্তমান সদস্যরা ।