মালদায় আরো একটি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হলো বিজেপির।

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ ;: মালদা :: মালদায় আরো একটি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হলো বিজেপির। পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পর সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটাভুটিতে অপসারিত হলেন বিজেপি প্রধান। ভয় দেখিয়ে বিজেপির তিনজন সদস্য কে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিযোগ বিজেপির। বিজেপি প্রধান এবং তার দাদার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল মানুষ তাই এই পরিণতি হয়েছে পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের।

২০১৭ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩ টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসন দখল করে বিজেপি। চারটি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস, চারটি কংগ্রেস, একটি সিপিএম ও একটি আসনে জয়লাভ করেন নির্দল প্রার্থী।একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড দখল করে বিজেপি। প্রধান হন উকিল মন্ডল। মাসখানেক আগে বিজেপির তিনজন, কংগ্রেসের তিনজন, একজন সিপিএম ,একজন নির্দল প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকে তৃণমূল।

গতকাল সেই অনাস্থারই তলবি সভা অনুষ্ঠিত হয় সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রধানের বিরুদ্ধে ১২জন সদস্য ভোট দেওয়ায় অপসারিত হন পঞ্চায়েত প্রধান। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অনিক ঘোষ।

যদি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অপসারিত বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান উকিল মন্ডল। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডলের অভিযোগ তিনজন বিজেপি সদস্যকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পঞ্চায়েতে অনাস্থা ডাকা হয়। রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।

এই প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ভয় প্রলোভনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি নেতৃত্ব আগে নিজেদের দখলে থাকা রাজ্যগুলির অবস্থা দেখুক তারপর আমাদের রাজ্য নিয়ে কথা বলবে। প্রধান এবং প্রধানের দাদার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল মানুষ তাই এই অবস্থা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *