মেদিনীপুরের খেজুরির কাছে মৎস্যজীবীদের ট্রলারডুবি – মৃত্যু হল ২ জনের।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: সাগর :: সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরতে গিয়ে ঘটলো বিপত্তি।পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির কাছে মৎস্যজীবীদের ট্রলারডুবি। মৃত্যু হল ২ জনের। এখনও নিখোঁজ ৭ মৎস্যজীবী।মৃত মৎস্যজীবীরা সম্পর্কে ভাই। দক্ষিণ 24 পরগনা সাগরের সুমতি নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বঙ্কিমনগর গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা।

মৃত মৎস্যজীবীদের নাম খুরসেদ খাঁ ও সফিরুল খাঁ । সম্পর্কে ভাই। ট্রলার ডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ চালিয়ে ৫ জনকে উদ্ধার করে দিয়েছে।নিখোঁজদের হদিশ পেতে সমুদ্রে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার অনুমতি মিলেছে। সেই কারণে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম থেকে ট্রলারে করে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শেখ তাজেমানের এফবি আলামিন-৪ নামের একটি ট্রলার। মোট ১২ জন মৎস্যজীবী ছিলেন ট্রলারে। যাওয়ার সময় খেজুরির মসনদ-ই আলার কাছে চড়ে ধাক্কা লাগে ট্রলারটির। তাতেই ঘটে বিপত্তি।

ধাক্কার জেরে উলটে যায় ট্রলারটি। সমুদ্রে পড়ে যান ১২ জনই। সাঁতরে বাঁচার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। শুরু হয় উদ্ধার কাজ।জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৫ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজন অসুস্থ।

প্রতীকি চিত্র :

এখনও হদিশ মেলেনি ৭ মৎস্যজীবীর। একই পরিবারের দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় শ্মশানের নিস্তব্ধতা খাঁ পরিবারে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার উপার্জনের আশায় বেরিয়েছিলেন সাগরের একই পরিবারের তিন সদস্য। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে হারিয়ে দিশেহারা।

এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে ওই ট্রলারের নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের খোঁজে দফায় দফায় চলছে তল্লাশি। নিখোঁজদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে রয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − five =