যাত্রীবাহী বাস চালানোর দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে দুর্লভপুর শিল্প করিডোর অবরোধ করে বিক্ষোভ ।

বুধন কর্মকার :: সংবাদ প্রবাহ টিভি :: ৫ই,ফেব্রুয়ারী :: বাঁকুড়া :: বড়জোড়া মেজিয়া শিল্পাঞ্চলের মালিয়াড়া গ্রামের ভিতর দিয়ে যাত্রীবাহী বাস চালানোর দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে বড়জোড়া – দুর্লভপুর শিল্প করিডোর অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। এই অবরোধ  অরাজনৈতিকভাবে ডাকা হলেও পরোক্ষে নেতৃত্ব দেয় সিপিআই(এম)’র বড়জোড়া এরিয়া কমিটির নেতৃত্বে। গ্রামের ভেতর দিয়েই যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করত। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

বর্ষার আগেই বাঁকুড়া জেলা পরিষদের অর্থানুকূল্যে রাস্তাটি নতুন করে কংক্রিটের হয়। ১৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য ৩ মিটার প্রস্থের এই রাস্তার কাজ শেষ হলেও যাত্রীবাহীবাস গ্রামের ভেতর দিয়ে না চালিয়ে বাইপাস রাস্তা দিয়ে চলাচল করানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে অবরোধকারীদের নেতৃত্বদানকারী সিপিআই(এম) নেতা সুজয় চৌধুরী বলেন, ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা দিয়ে জেলা পরিষদ মালিয়াড়াতে ঢালাই রাস্তা করে রাস্তা কাজের পর   গত ৬ মাস ধরে  মালিয়াড়ার ভিতর দিয়ে বাস চলাচল করছে না। গ্রামের ছাত্র ছাত্রী বয়স্ক মানুষ রোগী দের বাইপাসে গিয়ে গাড়ি ধরতে হচ্ছে। মালিয়াড়ার সাধারণ জনগণ ও সাথে dyfi সংহতি জানিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ৪ feb. এর মধ্যে বাস চলাচলের দাবী ও রাস্তা পূর্ণ সংস্কারের দাবী পূরণের জন্য বলা হয়।

D. M.কে জানানো হয় ও তার কপি প্রশাসনের সমস্ত স্তরে দেওয়া হয়। আজ দাবী পূরণ না হওয়ায় সকাল ৮. ৫০ থেকে বড়জোড়া- দুর্লভপুর রাস্তা অবরোধ করে জনগণ কোনো ব্যানার ছাড়া। উপস্থিত ছিলেন C. P.I.(M) বড়জোড়া এরিয়া সম্পাদক জেলা নেতা সুজয় চৌধুরী, মালিয়াড়া গ্রামের ভারত বন্ধু ব্যানার্জী, সজল খাঁ, জয়ন্ত মন্ডল, শ্যাম কর্মকার, চায়না তেওয়ারী সহ অসংখ মানুষ। 2 ঘন্টা অবরোধের পর বড়জোড়া থানার I.C. সঞ্জয় শ্রীবাস্তব উপস্থিত হয়ে আলোচনায় ঠিক হয় বিকেল 4 টায় B.D. O. র সাথে আলোচনায় সমস্যা মেটানো হবে। ৭ দিনের মধ্যে বাস চালানোর ব্যবস্থা হবে।এর পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

গ্রামের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক রাজেশ কর্মকার বলেন, এ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। সমস্যাটা সিপিআই(এম), তৃণমূল, বিজেপি সকলের। বাইপাশে গিয়ে বাস ধরতে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে যুবক-যুবতী সকলের কষ্টের শেষ নেই। তাছাড়া রাস্তা ঢালাই হল অথচ লম্বা খাল রয়ে গেল এটা তো ঠিক নয়। ওই অবরোধ স্থলে সব দলের সমর্থক ছিলেন বলে আমি দেখেছি।

সে কারণে কোনো নেতৃত্বস্থানীয় উপস্থিত থাকলে তা কোনোভাবেই অন্য চোখে দেখা ঠিক নয় । এ বিষয়ে তৃণমূল ব্লক সভাপতি অলোক  মুখোপাধ্যায় বলেন, এ নিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি যে রাজনীতি করছে তা মানুষের ভালোর জন্য করছে না। অবরোধ থাকায় নিত্যযাত্রীরা অসুবিধায় পড়েন। তারা সকাল থেকে নাজেহাল অবস্থায়  রাস্তায় বসে থাকেন। ঘটনাস্থলে বড়জোড়া থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা আসেন। তাদের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *