ইউক্রেন থেকে বাড়িতে ফিরল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির দুই ডাক্তারি পড়ুয়া।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: রায়দিঘি :: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়িতে ফিরল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির দুই ডাক্তারি পড়ুয়া। অর্কপ্রভ বৈদ্য ও অর্ঘ্য মাঝি ।২০১৯ সালে ডাক্তারি পড়ার জন্য ক্যিভ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি তে পড়তে যায়। রায়দিঘির অর্ঘ্য ৪ বর্ষের ছাত্র।

অর্কপ্রভ বৈদ্য কিভ ইউনিভার্সিটি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আটকে পড়েছে বহু ভারতীয় পড়ুয়া। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে তৎপর হয় ভারত সরকার।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের দেশের মাটিতে ফেরানোর জন্য শুরু হয় “মিশন গঙ্গা”। মিশন গঙ্গা মাধ্যমে বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রীকে দেশের মাটিতে ফেরানো হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে রয়েছে বহু ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী। তাদেরকে দ্রুত দেশের মাটিতে ফেরানোর জন্য ব্যবস্থা করছে সরকার।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে অর্ঘ্য মাঝি। পরিবারের সদস্যরা জানান, যখন থেকে ইউক্রেনের রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন থেকেই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলাম।

ছেলের চিন্তায় দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি কোনদিন। ছেলে বাড়ি ফেরায় স্বস্তি পেলাম। অন্যদিকে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অর্ঘ্য। তিনি বলেন , ক্যিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি তে আমার চতুর্থ বর্ষ চলছে আর বাকি ছিল মাত্র দু’বছর। কিন্তু যেভাবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে আমার মনে হয় না আর ইউক্রেনে পড়াশোনার মত পরিবেশ থাকবে।

তবে আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় রয়েছি। ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারের নিকট আবেদন আমাদের মতন হাজার হাজার পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণের ব্যবস্থা করে দিক।

অন্যদিকে রায়দিঘির কাশিনগর এর বাসিন্দা অর্ক প্রভ বৈদ্য শনিবার রাতে রায়দিঘির বাড়িতে আসে।ছেলে বাড়ি ফিরতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে ছোট বেলা কার বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে খুশির হওয়া । অর্কপ্রভ বৈদ্য মুখতে বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে উদ্ধার হয়ে কিভাবে বাড়ি এসছে সেই হাড়হিম করা গল্প ।

কিভাবে ইউক্রেনের সুন্দর শহর কিয়ভ মুহূর্তের মধ্যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরে পরিণত হয়েছে ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও বাড়িতে ফিরে খুশি রায়দিঘি দুই ছাত্রের পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − ten =