আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ টিভি :: ১১ই,জানুয়ারি :: কলকাতা :: সোমবার দাঁতনের দেউলি গ্রামে যুব মোর্চার সমাবেশে সৌমিত্র স্পষ্ট করে বলেন, ‘শুনে রাখুন, শুভেন্দু দা’র নেতৃত্ব একদিন গোটা তৃণমূল দলটাই ভেঙে যাবে। আর দিলীপ ঘোষই হবেন বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। কারণ দিলীপ ঘোষ একজন প্রকৃত নেতা। তিনি কখনও সংসারধর্ম করেননি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তিনিই একদিন রাজ্য সামলাবেন। তাঁকে নিয়ে অনেক তৃণমূল নেতা বলেন, দিলীপ ঘোষ কী জানেন? কিন্তু তিনি যেদিন এই বাংলা চালাবেন, সেদিনই উত্তর পেয়ে যাবেন।’
এদিকে বিজেপির রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সম্প্রতি কলকাতায় এসে হুগলির সাংসদের ওপর আস্থা রেখে গেছেন । তাঁকে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব ।সেই ভোটের উপর ভিত্তি করেই এবার ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু বিজেপির হয়ে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। কিন্তু এবার সৌমিত্র খাঁ যে দাবি করলেন, তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
যদিও বিজেপির তরফে আদৌ ভোটের আগে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২০১৯-এর নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির উত্থানের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলেছে বিজেপির অন্দরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো মুখ না খুঁজে পেয়ে বিজেপি নেতারা বারবার নরেন্দ্র মোদীকেই ‘মুখ’ করে এগোতে চাইছে। এমনকী শুভেন্দুর মতো নেতাও বারবার বলছেন, ‘বাংলাকে নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিতেই হবে।’ সেক্ষেত্রে শুভেন্দুও কি হাল ছেড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার আশা ? আসলে এই সব দোলাচলের মধ্যেই এখন মানুষ বলছেন তার মানে বিজেপি নিজেই এখনো তাদের জয় নিয়ে সংশয়েই রয়েছে । মুখ নেই তাইকি এবারও আর মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারে বসা হলোনা ?