সুদেষ্ণা মন্ডল :: বারুইপুর :: সংবাদ প্রবাহ :: মঙ্গলবার ২৩,মে :: এগরা দশজন ও বজবজ মহেশতলায় বাজি বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনের আধিকারিকরা। বারুইপুরের চাম্পাহাটির হাড়ালে আগামী দুই মাস বাজি তৈরি, বাজি মজুদ ও বাজি বিক্রি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ।
আতশবাজি অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে এমনই কড়া নির্দেশ দেন এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও আইসি বারুইপুর সৌমজিৎ রায়। এই এলাকার প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এই ফতোয়া জারির পর থেকেই এখানে প্রায় দেড়শো বাজির দোকান বন্ধ হয়ে গেল।
পুলিশের পক্ষ থেকে এসডিপিও বারুইপুর ও আই সি বারুইপুরের নেতৃত্বে ব্যাপক হারে নিষিদ্ধ বাজি ও অবৈধ্ কারখানার বিরুদ্ধে অভিযানও চালানো হয়। অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে বারো হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। হাড়ালের প্রখ্যাত বাজি ব্যবসায়ী অর্জুন মন্ডল জানান , এগরা-মহেশতলার ঘটনার জেরে এই ফতোয়া জারি করা ঠিক নয় ।
কারণ যারা অবৈধ ভাবে নিষিদ্ধ বাজি তৈরী ও বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালালে কোনো ক্ষতি নেই । প্রয়োজনে পুলিশকে সহায়তা করা হবে । কিন্তু যারা বৈধ ভাবে এই ব্যবসা চালাচ্ছে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা উচিত প্রশাসনের । কারন দীর্ঘ ছ-দশক ধরে হাড়াল সহ আশপাশের বেগমপুর , কাঁটাখাল , পুঁরি সহ বিভিন্ন গ্রামে এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে হাজার-হাজার পরিবার । তাদের দিকটাও দেখা উচিত ।