নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: নারী শিক্ষকদের পরতেই হবে শাড়ি। এমন প্রথায় আপত্তি জানিয়েছিলেন কেরালার কোডুঙ্গাল্লুরের এক অধ্যাপক। শুধু তিনিই নন, আরও কয়েকজন নারী শিক্ষকও শাড়ি পরার এমন নিয়ম নিয়ে আপত্তি জানান। এসব অভিযোগ আর আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে কেরালা সরকার এই চর্চা বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। এ খবর এনডিটিভির।
রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু বলেছেন, এটা কেরালার প্রগতিশীলতার পরিপন্থী। কে কী পোশাক পরবেন, সেটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ–অপছন্দের ওপর নির্ভর করে। উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে। উচ্চশিক্ষামন্ত্রী বিন্দু বলেন, পোশাক নিয়ে সমালোচনা করার বা অন্যের ব্যক্তিগত পছন্দে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারও নেই। সবাই যার যার পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরবেন।
কেরালার শিক্ষকদের নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী পোশাক পরার অধিকার রয়েছে। নারী শিক্ষকদের শাড়ি পরতে বাধ্য করা কেরালার প্রগতিশীলতার পরিপন্থী। বিন্দু ত্রিশুরের কেরালা ভার্মা কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বলেন, একসময় তিনিও নিয়মিত চুড়িদার পরতেন। তিনি বলেন, পোশাক পরা ব্যক্তিগত বিষয়। অন্যের ব্যক্তিগত পছন্দের সমালোচনা বা তাতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারও নেই।
২০১৪ সালের ৯ মে শিক্ষকদের শাড়ি পরাসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কেরালা সরকার। এর পরও রাজ্যের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের শাড়ি পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ কারণে উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।