উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: শনিবারের পর রবিবার সরকারি আবাসনে ফের চুরি। আতঙ্কের শহর বর্ধমান!চুরির থ্রিলার চলছে গোটা শহরজুড়ে।ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত শহরের নাগরিকরা। বাড়ি ফাঁকা রেখে আত্মীয়র বাড়ি বা বাইরে গেলেই বাড়িতে হানা দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। গোটা বাড়ি তছনছ করে সর্বস্ব লুট করছে দুস্কৃতিরা। কিন্তু পুলিশ তাদের টিকে পর্যন্ত ছুঁতে পারছে না।শুধুমাত্র গত সাতদিনেই বর্ধমান শহরে একটি আবাসনের তিনটি বাড়ি , একটি ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজ ও একটি বাড়িতে চোরের দল হানা দিয়ে লুটপাট চালায়। গত বুধবার বর্ধমান শহরের বাবুরবাগ ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে তালা ভেঙে নগদ টাকা ও সোনাদানা নিয়ে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা।
বাবুরবাগ ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বিশ্বলোচন কর্মকার দু’দিনের জন্য কলকাতার দমদমে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ছিলেন৷ এই সুযোগেই ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে চুরি করেছে দুস্কৃতিরা। ওইদিনই বর্ধমানের ইউআইটি কলেজের সিভিল ইঞ্জিনীয়ারিং ল্যাবটোরিতে চুরির ঘটনা সামনে আসে।কলেজ খুলতেই দেখা যায় ল্যাবের জিনিসপত্র সব হাওয়া।
গত শনিবার বর্ধমানের সাধনপুর সরকারি আবাসনে পরপর তিনটি বাড়ির দরজার তালা ভেঙে চুরি হয়। রবিবার দেখা যায় ফের একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে। আর একটি বাড়ি চুরির চেষ্টা করে দুস্কৃতিরা। জেলাশাসক বাংলোর পাশে সাধনপুর সরকারি আবাসনের এন ২, এস ২ এবং এফ ৫ ব্লকে চুরির ঘটনা ঘটে। সরকারি আবাসনের একদিকে জেলাশাসক বাংলো এবং অন্যদিকে সার্কিট হাউস। এইরকম জায়গায় কিভাবে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
বর্ধমানের নবাবহাট এলাকার একটি টাউনশিপে বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে। বাড়িতে না থাকার সুযোগে দুটি বাড়িতে পরপর চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও মাসখানেক আগে বাহির সর্বমঙ্গলা এলাকায় একটি বাড়িতে কেউ না থাকার কারণে তালা ভেঙে চুরি হয়। শহরের বিভিন্ন জায়গাতেও একইভাবে চুরির ঘটনা ঘটছে নাগাড়ে।
পাশাপাশি শহরের জনবহুল এলাকা বাইক চুরির ঘটনাও প্রকাশ্যে ঘটছে। তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ডের ফ্যান্সি মার্কেট থেকে বৃহস্পতিবার একটি বাইক চুরি হয়। শনিবার তিনকোনিয়া এলাকা থেকে ফের বাইক চুরি হয়।সেই দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভিতে।
জেলায় চুরি নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন মন্তব্য করেন, ২০১৬ সালে সার্ভেতে দেখা গেছে এক লক্ষ জনসংখ্যার নিরিখে ১৩৭ জন পুলিশকর্মীর প্রয়োজন। বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলায় জনসংখ্যা মোটামুটি ৭৩ লক্ষ। সেই জায়গায় পুলিশ থাকার কথা ১০ হাজারের উপর।কিন্তু জেলায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ পুলিশের সংখ্যা আছে মাত্র তিন হাজারের মত।চুরি নিয়ে সহজ সরল সাফাই পুলিশ সুপারের।