বাঁকুড়ায় রাসায়নিক সারের কালোবাজারির দাপটে দিশেহারা চাষীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: ঊর্ধ্বমুখী আলু বীজের দাম এবং রাসায়নিক সারের কালোবাজারিতে মাথায় হাত আলুচাষীদের। এমনই ছবি ধরা পড়েছে বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর জয়পুর সহ বেশ কিছু এলাকায়। 10-26-26 ফার্টিলাইজার এর সরকারি দাম ১৪৭০ টাকা সেখানে চাষীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১৯৫০ টাকা ।

পটাশ যার সকারী দাম -১০০০ টাকা ,D.A.P-১২০০ ,ইউরিয়া -২৬৬ । ফসপেট -৪০০ ,সেখানে সায়নিক সার ১৯০০ থেকে ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে চাষীদের। রাসায়নিক সারের এই কালোবাজারিতে স্থানীয় এগ্রিকালচার অফিসার ও প্রশাসনের উদাসীনতায় অসহায় হয়ে পড়েছেন আলুচাষিরা।

একদিকে আলু বীজের দাম বেড়েই চলেছে নিত্যদিন ,আর অন্যদিকে রাসায়নিক সারের কালোবাজারি,এই দুই-এর চাপে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন আলু চাষীরা। বারবার নিম্নচাপ‌ও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে আলুচাষিদের কপালে। সব মিলিয়ে অসহায় হয়ে পরেছেন চাষীরা। যেখানে সরকার রাসায়নিক সারের প্রতি প‍্যাকেটের ভর্তুকি দিচ্ছে ফার্টিলাইজার কোম্পানিকে ।তারপরও এত দাম বাড়াচ্ছে কেন বাঁকুড়া জেলার ফার্টিলাইজার ব্যাবসায়ীরা, সেটাই বুঝতে পারছেন না ক্ষুদ্র চাষীরা।

রাসায়নিক সার বিক্রি হচ্ছে ১৯৫০ -২০০০ টাকায়। দ্বিগুণ দাম তাও নিরুপায় হয়ে সেই রাসায়নিক রাসায়নিক সার কিনতে হচ্ছে আলুচাষিদের। এই সারের কালোবাজারি নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতায় দিশেহারা চাষিরা। তাদের দাবি প্রশাসন যেন অবিলম্বে এই কালোবাজারি বন্ধ করেন, তা না হলে আমাদের আলু চাষ বন্ধ করতে হবে। দাবি স্থানীয় এক আলুচাষীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 1 =