BREAKING NEWS :: আমেরিকায় ট্রাম্প কি সামরিক শাসন জারির ফন্দি করছে – হাতে মাত্র চার দিন সময় !

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদপ্রবাহ টিভি :: ১৭ই জানুয়ারি :: নয়াদিল্লি :: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থক এক ব্যবসায়ী হোয়াইট হাউজে তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় কি                                                      সামরিক শাসন জারি

র প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছিলেন ? ওয়াশিংটন পোস্টের একজন স্টাফ ফটোগ্রাফার এই ব্যবসায়ীর হাতে ধরা কাগজপত্রের যে ছবি তুলেছেন, সেটি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেরকম আলোচনাই চলছে।

সব বড় বড় মার্কিন সংবাদপত্রে আজ এই খবরটি বেশ ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া এই ব্যবসায়ীর নাম মাইকেল লিন্ডেল।

ছবি  : মাইকেল লিন্ডেল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাই পিলো‌ বলে একটি কোম্পানির সি ই ও

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাই পিলো‌ বলে একটি কোম্পানির সি ই ও । এটি মূলত বিছানা এবং বালিশ বিক্রির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, মাইকেল লিন্ডেল হোয়াইট হাউজে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। তিনি যখন ওয়েস্ট উইং এর দিকে যাচ্ছেন তখন তার ছবি ধরা পড়ে ওয়াশিংটন পোস্টের স্টাফ ফটোগ্রাফার জ্যাবিন বটসফোর্ডের ক্যামেরায়।

ওয়াশিংটন পোস্টের স্টাফ ফটোগ্রাফার জ্যাবিন বটসফোর্ড

ছবিতে মিস্টার লিন্ডেলের হাতে ধরা কাগজপত্রে যেসব কথাবার্তা লেখা, তার পাঠ উদ্ধার করে অনেকে আঁতকে উঠেছেন। টুইটারে অনেকে এমন মন্তব্য করেছেন যে, মিস্টার লিন্ডেলের হাত ধরা নোট পড়ে মনে হচ্ছে তিনি যেন যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক শাসন জারির প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন।

ছবিতে মিস্টার লিন্ডেলের হাতে ধরা কাগজপত্রে যেসব কথাবার্তা লেখা

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা শেষ হয়ে যাচ্ছে চারদিন পরেই, তার জায়গায় ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন জো বাইডেন। মিস্টার ট্রাম্প এখনো সমানে দাবি করে যাচ্ছেন যে তিনিই নির্বাচনে জিতেছেন এবং কারচুপির মাধ্যমে জো বাইডেনকে জয়ী দেখানো হচ্ছে।

গত ৬ জানুয়ারি তার ডাকে যে হাজার হাজার সমর্থক ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন, সেখান থেকে ক্যাপিটল ভবনে সহিংস হামলার পর মিস্টার ট্রাম্প এখন বেশ বেকায়দায় আছেন। তাকে এরই মধ্যে কংগ্রেস দ্বিতীয়বারের মতো ইমপীচ (অভিশংসন) করেছে।

মাইকেল লিন্ডেল হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন কট্টর সমর্থক। গত শুক্রবারও তিনি তার ফেসবুক পাতায় পোস্ট দিয়েছেন, সবাই বিশ্বাস রাখুন! আমরা আরও চার বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাবো।

ও‍য়াশিংটন পোস্টের ফটোগ্রাফারের তোলা ছবিতে তার হাতে ধরা নোটের যেসব লেখা পড়া যাচ্ছে তার একটি হচ্ছে মার্শাল ল ইফ নেসেসারি (প্রয়োজনে সামরিক শাসন)। আরেক জায়গায় লেখা মুভ ক্যাশ প্যাটেল টু সিআইএ একটিং (ক্যাশ প্যাটেলকে সিআইএর ভারপ্রাপ্ত..)।

ক্যাশ প্যাটেল হচ্ছেন মিস্টার ট্রাম্পের বিশ্বস্ত একজন কর্মকর্তা, যাকে নির্বাচনের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। সেখানে তিনি জো বাইডেনের টিমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কাজে বাধা সৃষ্টি করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজিত হলে সেক্ষেত্রে সামরিক শাসন জারির পক্ষে মত দিয়েছিলেন এর আগেও কোন কোন সমর্থক। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন রজার স্টোন।

সিএনএনের হোয়াইট হাউজ সংবাদাদতা জিম একোস্টা জানিয়েছেন, তিনি মিস্টার লিন্ডেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। লিন্ডেল নিশ্চিত করেছেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এসব কাগজপত্র মিস্টার ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে তার স্টাফদের কাছে জমা দিতে বলেন। তবে তিনি তার নোটে মার্শাল ল লেখা ছিল বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা অস্বীকার করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − two =