BREAKING NEWS :: বাম প্রার্থী মীনাক্ষী কি হতে পারবেন জায়ান্ট কিলার

নিজস্ব সংবাদদাতা  :: সংবাদ্প্রবাহ :: ১৯শে মার্চ :: কোলকাতা :: ১৯৮৪ সাল থেকে ২০২১ প্রায় চল্লিশ বছরের বর্ণময় রাজনৈতিক জীবন মমতা ব্যানার্জির। সেই রাজনৈতিক জীবনে এসেছে নানা চড়াই-উতরাই। তারই হাত ধরে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটে। নিজের জীবনের প্রথম নির্বাচনে সেই মমতাই চমকে দিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে যাদবপুর কেন্দ্রে সিপিআইএম’এর হেভিওয়েট প্রার্থী সোমনাথ চ্যাটার্জিকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদে প্রবেশ করেছিলেন মমতা। আর তারপর থেকেই অগ্নিকন্যা হিসাবে উঠে এসেছেন মমতা, জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছন তিনি। 

কয়েক দশক পর সেই রকম এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে একুশের বিধানসভার নির্বাচনে। কোন সন্দেহ নেই যে আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনে রাজ্যের সবচেয়ে হাইপ্রোইফাল কেন্দ্র ‘নন্দীগ্রাম’। আগামী ২৭ মার্চ থেকেই রাজ্যের ২৯৪ টি আসনে নির্বাচন শুরু হচ্ছে। মোট আট দফায় হবে এই নির্বাচন। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় এই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা তৎপরতা শুরু হয়েছে। 

নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই আসন থেকে জিতেই তৃতীয়বার বাংলা মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসতে চাইছেন মমতা। মমতার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে লড়াই করছেন বিজেপির প্রার্থী রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। যে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের হাত ধরে মমতার ক্ষমতায় আসা-সেই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন শুভেন্দু। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে রাজনীতির ময়দানে যে ছিলেন মমতার সহযোগী, সেই আজ বিপরীত মেরুতে। ফলে তৃণমূল নেত্রীর লড়াইটা যে এবার খুব একটা সহজ হবে না সেটা পরিস্কার। 

তবে নন্দীগ্রামে যখন মমতা-শুভেন্দুর লড়াই নিয়ে সরগরম তখনই ওই কেন্দ্রে একবারে নবাগত একজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে নীরবে লড়াইটা আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ (সযুক্ত মোর্চা) জোট। এরকম একটি কেন্দ্রে কঠিন লড়াইয়ের মুখে জোটের তরফে সিপিআইএম প্রার্থী হয়েছেন একেবারেই আনকোরা মুখ মীনাক্ষী মুখার্জি। 

বাবা সাগর মুখার্জি ছিলেন কৃষক আন্দোলনের নেতা- তার হাত ধরেই রাজনীতিতে পদার্পণ। বাবার সাথেই দলের নানা কর্মসূচিতে যেতেন মীনাক্ষী। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারর্স মীনাক্ষী বর্তমানে কলেজে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষার্থী থাকাকালীন অবস্থা থেকেই এসএফআই করতেন। ২০১২ সালে ডিওয়াইএফআই’এর কুলটি জোনাল সম্পাদক হন পরে রাজ্য সভানেত্রী করা হয় তাকে। যথেষ্ঠ লড়াকু বলেও পরিচিত মীনাক্ষী। 

কিন্তু ১৯৮৪ সালে মমতা ব্যানার্জি যে ক্যারিশমা দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে বিপর্যস্ত করেছিলেন,  একুশের নির্বাচনে মীনাক্ষী কি পারবেন সেই মিরাক্যাল ঘটাতে। তবে মমতার চেয়েও মীনাক্ষীর লড়াই আরও কঠিন। কেননা মমতাকে ছাড়াও মীনাক্ষীকে লড়তে হবে নন্দীগ্রামের ভূমিপূত্র শুভেন্দুর বিপরীতেও। যদিও সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী ২ মে, গণনার দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 9 =