সংবাদপ্রবাহ টিভি ডেস্ক :: ২রা ফেব্রুয়ারী :: নয়াদিল্লি :

বালুচিস্তান বাঁচতে চাইছে  
পাকিস্তানের বালুচিস্তানে স্বাধীনতা আন্দোলন দ্রুত দমন করতে চাইছে চীন। সেই উদ্দেশে ইতিমধ্যে পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন এক সেনা কর্মকর্তাকে বালুচিস্তানে মোতায়েন করেছে বেইজিং। বালুচিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলন দমনে চীনের ভূমিকার কথা স্বীকার করে এ তথ্য জানায় সেনা কর্মকর্তা পাক মেজর জেনারেল আয়মান বিলাল।
কে এই জেনারেল আয়মান বিলাল ?

পাকিস্তানের বালুচিস্তানে স্বাধীনতা আন্দোলন দ্রুত দমন করতে চাইছে চীন। সেই উদ্দেশে ইতিমধ্যে পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন এক সেনা কর্মকর্তাকে বালুচিস্তানে মোতায়েন করেছে বেইজিং। বালুচিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলন দমনে চীনের ভূমিকার কথা স্বীকার করে এ তথ্য জানায় সেনা কর্মকর্তা পাক মেজর জেনারেল আয়মান বিলাল।

ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বিলালকে মোটা টাকার বিনিময়ে বালুচিস্তান এলাকায় মোতায়েন করেছে চীন। বালোচ আন্দোলন দমন করতে তাকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল আয়মান বিলাল বলেন, ‘বালোচ আন্দোলনকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে আমাকে এখানে মোতায়েন করেছে বেইজিং। আমাকে ছয় মাস সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’

এই স্বীকারোক্তি সামনে আসার পরই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, চীনের মদতেই পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এবার কার্যত তাই বেরিয়ে আসল পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তার বক্তব্যে।

উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ। বিভিন্ন সময় সেখান নাশকতামূলক ঘটনাও ঘটেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, দেশের সরকারে বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করছে এই প্রদেশের নেতারা। এরই মাঝে পাকিস্তানে তৈরি হচ্ছে চীনের সঙ্গে দ্বৈত অর্থনৈতিক কোরিডোর। যার একটা বড় অংশ রয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশে। তাই বালোচ আন্দোলনকারীদের নিয়ে শঙ্কিত চীন। এমন আবহে এই আন্দোলনকেই উপড়ে ফেলতে চাইছে চীন সরকার।

প্রসঙ্গত, ইমরান  খানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল দ্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি রিসার্চ সার্ভিস নামে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। বালুচিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর চালানো অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করে তারা। আর এই বিষয়ে ইউরোপের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত ওই সংগঠনটি পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট উপস্থাপন করে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়, বালুচিস্তানের কোয়েটায় বসবাসকারী হিন্দু এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা খুব ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কমিশনের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তার প্রমাণও পেয়েছে