BREAKING NEWS :: ভারতে কৃষক আন্দোলন হটাতে প্রস্তুত ড্রোন-জল কামান তৈরী

কুমার পঙ্কজ :: সংবাদপ্রবাহ টিভি :: ৬ই,ফেব্রুয়ারি :: নয়াদিল্লি :: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে জড়ো হয়েছেন কৃষকরা। এবার তারা তিন ঘণ্টার ‌‘চাক্কা জ্যাম’ (রাস্তা বন্ধ) কর্মসূচি পালন করছে। ধীরে ধীরে এই আন্দোলন পুরো দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। তবে এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়ার মানসিকতা নেই সরকারের।ইতোমধ্যেই দিল্লির বিভিন্ন প্রবেশ পথে ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ড্রোন এবং জল কামান।

শনিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত দেশজুড়ে রাজ্য সড়কে শান্তিপূর্ণ ভাবে এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং রাজধানী দিল্লি ও এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ‘চাক্কা জ্যাম’ করা হবে না। দিল্লিমুখী যেসব রাস্তায় কয়েক মাস ধরে অবরোধ চলছে, সেগুলো ছাড়া বাকি রাস্তা খোলা থাকবে।

ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ তিকাইত বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে চাক্কা জ্যাম হবে না। এছাড়া দিল্লি বাদে দেশের সব রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করা হবে। তবে যে কোনো সময় দিল্লিতে অবরোধ ডাকা হতে পারে। এর প্রস্তুতিও নেয়া আছে বলে জানান তিনি।এদিকে দিল্লির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভের স্থান সিংঘু, তিকরি এবং গাজিপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গাজিপুরে জল কামানের গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লি-এসিআর এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ ও প্যারামিলিটারি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ১২টি মেট্রো স্টেশনে সতর্ক অবস্থা জারি করা হয়েছে।

দিল্লি পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার অলোক কুমার বলেন, ২৬ জানুয়ারি থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।এর আগে দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি চায় না কোনো পক্ষই। কৃষক ইউনিয়নের নেতাদের আশঙ্কা, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভণ্ডুলের চেষ্টা করা হতে পারে। অন্যদিকে, এই কর্মসূচি ঘিরে যেন সহিংসতা ছড়াতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখছে দিল্লি পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাস হওয়া কৃষক আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন কৃষকরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দু’মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 9 =