কুমার পঙ্কজ :: সংবাদপ্রবাহ টিভি :: ৮ই,ফেব্রুয়ারি :: যোশীমঠ :: বিশাল হিমবাহ ধসে বাঁধ ভেঙে মৃত মানুষের সংখ্যা এ পর্যন্ত ১৪ তে পৌঁছেছে। বাঁধ ঘিরে গড়ে ওঠা জল বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিয়োজিত ১৭০ কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে কাজ চলছে বলে আজ সোমবার জানিয়েছেন উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। গতকাল রবিবার উত্তরাখন্ড রাজ্যের চামোলি জেলার জোশিমঠে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এনটিপিসি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৪৮ জন কর্মী ছিলেন। রিশিগঙ্গা বিদ্যুকেন্দ্রে ছিলেন ২২ জন কর্মী। তাঁরা সবাই নিখোঁজ। নির্মাণাধীন একটি সুড়ঙ্গে ১২ জন আটকা ছিলেন। আইটিবিপি দল তাঁদের উদ্ধার করেছে। আরেকটি সুড়ঙ্গে প্রায় ৩০ জন আটকা আছেন। ওই সুড়ঙ্গটি ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার লম্বা। উদ্ধারকারী দল সারা রাত ধরে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি বলেছে, প্রতিবেশী এলাকাগুলোতে আর ক্ষতির আশঙ্কা নেই। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও জাতীয় জল কমিশন বলছে, এ সময় নদীর তলদেশে আর বন্যার আশঙ্কা নেই।দুর্ঘটনাস্থলে চিকিৎসক দল পৌঁছেছে। যোশিমঠ এলাকায় ৩০ শয্যার একটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রীনগর, ঋষিকেশ, জলিগ্র্যান্ট ও দেরাদুনে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেছেন, এনটিপিসি ও রিশিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৬০ জনের মতো মানুষ কাজ করতেন। তাঁদের অবস্থান শনাক্ত ও উদ্ধার কাজ করছে উদ্ধারকারী দল। উদ্ধার কার্যক্রম জোরালোভাবে চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধারকাজ চলছে।
উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড থেকে অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।দুর্ঘটনাস্থলে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দল, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটে জানান,দেশ উত্তরাখন্ডের পাশে রয়েছে। সবার নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি বলেছে, প্রতিবেশী এলাকাগুলোতে আর ক্ষতির আশঙ্কা নেই। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও জাতীয় জল কমিশন বলছে, এ সময় নদীর তলদেশে আর বন্যার আশঙ্কা নেই।সকালে হঠাৎ হিমবাহটি ভেঙে পড়ে। এতে অলকনন্দা ও ধউলিগঙ্গা নদীর জল বিপদ সীমার ওপরে উঠে যায়। ফলে প্রাণহানি এড়াতে স্থানীয় হাজারো বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাশের ঋষিগঙ্গা ও এনটিপিসি বিদ্যুৎকেন্দ্র । অমিত শাহ বলেছেন, উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ চালানোর জন্য দুর্যোগ প্রতিরোধ দল পাঠানো হয়েছে।