LATEST UPDATE :: উত্তরাখণ্ডের হিমবাহ ধ্বসে উদ্ধারকার্য শুরু – পৌঁছেছে ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশের উদ্ধারকারীরা !

কুমার পঙ্কজ ::সংবাদপ্রবাহ টিভি :: ৭ই,ফেব্রুয়ারি ::চামোলি :: উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে তুষারধসে নিখোঁজ রয়েছে ১৫০ শ্রমিক। রোববার সকালে চমোলি জেলার জোশিমঠের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তুষারধসের কারণে অলকানন্দা নদীর ঋষিগঙ্গা বাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধৌলিগঙ্গার বাঁধে ফাটল দেখা গেছে। নদীর জলের স্তর দ্রুত বাড়ছে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে। ধৌলিগঙ্গা এলাকায় রেনি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের দেড় শতাধিক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, চামোলি জেলায় ১০০-১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রেইনি গ্রামের তপোবন এলাকায় ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা গেছে, বাঁধ ভাঙা জল নদীর দু’পাশের বাড়ি ঘর ভেঙে তীব্র গতিতে এগোচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ জনের উদ্ধারকারী দল। ধসের কারণে ধউলিগঙ্গার দু’পাশের গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তপোবনের কাছে নন্দাদেবী হিমবাহে ফাটল ধরায় ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

চামোলি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অলকানন্দা নদীর তীরে যে বসতিগুলি রয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সেই জায়গাগুলিও খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভাগিরথী নদীর গতিপথ বন্ধ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের গঙ্গার দু’পারেও জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। ঘটনায় আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। শ্রীনগর ও ঋষিকেশ বাধের লাগোয়া অঞ্চল খালি করে দেওয়া হয়েছে।এর আগে ২০১৩ সালে প্রবল বৃষ্টি ও হড়পা বানে উত্তরাখণ্ডে প্রায় ছয় হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *