দীর্ঘ ১৩০ বছর পরে বুদ্ধ পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ! বিরল মুহূর্তে ঘটতে চলেছে নানা অশুভ ঘটনা

নিউজ ডেস্ক  :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা ::  বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে শুক্রবার, অর্থাৎ আগামী ৫ মে, ২০২৩ তারিখে। ওই দিন আবার বুদ্ধ পূর্ণিমার পুণ্য তিথিও বটে। আর পঞ্চাঙ্গ বলছে, প্রায় সুদীর্ঘ ১৩০ বছর বছর পরে তৈরি হতে চলেছে এই যোগ। অর্থাৎ এত বছর বাদে বুদ্ধ পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবে বিশ্ববাসী।

চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব ভারত-সব বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দেখা যাবে। যদিও চন্দ্রগ্রহণ জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত একটি ঘটনা, তবে জ্যোতিষশাস্ত্রে এর একটা আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে। মনে করা হয় যে, বহু রাশির জাতক-জাতিকাই চন্দ্রগ্রহণ দ্বারা প্রভাবিত হবে।

গ্রহণ কত ক্ষণ স্থায়ী হবে?

জ্যোতিষী সন্তোষ নাগর জানান যে, আগামী ৫ মে বা বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হতে চলেছে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে এবং তা শেষ হবে রাত ১টা ০০ মিনিটে। এই চন্দ্রগ্রহণের সময়কাল হবে ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।

অশুভ প্রভাব এড়ানোর উপায়:

জ্যোতিষীদের মতে, চাঁদকে মনের কারক বলে গণ্য করা হয়। কথিত আছে যে, চন্দ্রগ্রহণের সময় রাহুর অশুভ ছায়া চাঁদের উপর পড়লে তা কলুষিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে এটি আমাদের মানসিক অবস্থাকেও প্রভাবিত করে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে গেলে, রাহু প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সময়ে সময়ে চন্দ্রকে আঘাত করে থাকে। যার ফলে মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। এর পাশাপাশি ঘুমের সমস্যা শুরু হয়। এই কারণেই চন্দ্রগ্রহণের সময় ঘর থেকে বার হতে নিষেধ করা হয়। কুণ্ডলীতে চন্দ্রের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে চন্দ্রগ্রহণের সময় শিবের মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা উচিত। এতে অশুভ প্রভাব দূর হবে।

সূর্য, পৃথিবী এবং চন্দ্র – এই তিন গ্রহের কারণেই চন্দ্রগ্রহণ হয়। পৃথিবী যখন সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে এসে যায় এবং এই তিনটি গ্রহ একই সরলরেখায় থাকে, তখনই চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই ধরনের গ্রহণ সম্পর্কে একটি ধর্মীয় বিশ্বাস আছে, কিন্তু যখন এই তিনটি গ্রহ একটি সরলরেখায় থাকে, অথচ পৃথিবীর ছায়া সরাসরি ভাবে চাঁদে পড়ে না, তখন একটি উপ-ছায়া চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই ধরনের গ্রহণের ফলে ধূলিকণার মতো পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে, যা সহজে দেখা যায় না।(সংকলিত)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =